মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১২

রাস্তায় মাছ ধরার মোক্ষম সুযোগ অনেকেই হাতছাড়া করছেন না ।বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়ছে জালে ,শুকনো মাছের ঘ্রানে ভৌ ভৌ করছে বন্যা প্লাবিত গ্রাম গুলো ।

আর কয়েকদিন চট্টগ্রামে বৃষ্টি পড়লে ৯৭ এর বন্যার রের্কড কে হার মানাবে ২০১২ এর অতর্কিত এই অতিবৃষ্টি ঘটিত বন্যা ।হঠাত্‍ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে ।হসপিটালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন ,আয় বাড়ছে ক্লিনিকগুলোর এবং ডাক্তারদের ।

শুধু চট্টগ্রাম শহর নয় পুরো জেলা এই অতিবৃষ্টির শিকার ।নিঁচু এলাকার বাসা বাড়ির , নিচ তলায় কোমর এমনকি বুক সমান পানি উঠেছে ।তারা অনেকেই হয়তো আজকের রাতে উদ্বাস্তু হিসাবে কারো বাসায় আচমকা মেহমান হিসাবে উপস্তিত হবেন হইতো বা এই বন্যার পানির সাথে সংগ্রাম করবেন যাতে তাদের আসবাবপত্র গুলো অন্তত রক্ষা পায় ।সবচেয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং অসহায় বোধ করছেন শহরের নিম্নবৃত্তের মানুষগুলো ও চিন্নমূল মানুষগুলো ।তাদের তো এখন থাকার কোন স্থান ও নেই ।
বহদ্দারহাটে বাঁজ পড়ে বিদ্যুত্‍ লাইনের জেনারেটর বিকল হয়ে যাওয়ায়  এলাকার মানুষগুলোর আজকের রাতটা অন্ধকারে কাঁটাতে হবে ।

শহরের বাইরের অবস্তা আরো করুণ ।রাস্তাঘাট ,অনেক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে ।নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।রাস্তায় মাছ ধরার মোক্ষম সুযোগ অনেকেই হাতছাড়া করছেন না ।বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়ছে জালে ,শুকনো মাছের ঘ্রানে ভৌ ভৌ করছে বন্যা প্লাবিত গ্রাম গুলো ।
ক্ষতির পরিমাণ বেশী হলে ও এই বন্যায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি কাজ অন্তত কমে গেল ।সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিস্কার করতে সামনের কয়েকদিন টাকা খরচ করতে হবে না ।বন্যার ফলাফল যতই খারাপ হোক ,লাভতো কিছু আছে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন