বৃষ্টিকে এখন অনেকের আর ভাল লাগছে না । প্রায় মানুষ অতি গরমে বৃষ্টিকে চাইলেও অতি বৃষ্টিকে কারো ভাল লাগে না । কিন্তু বৃষ্টির ক'ফোঁটা পানির জন্য একটা সময় আমাদের জিহ্বা কেঁপে উঠবে ।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে গতকাল "Water crisis in India" নামের একটা প্রোগ্রামে ভারতের বিভিন্ন শহর সহ গ্রামেও তীব্র পানি সংকটের একটা বাস্তব স্বচিত্র প্রতিবেদন দেখানো হয় । যেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্থর নিচে নেমে যাওয়া , বৈশ্বিক উষ্ণতা ,পানির অপচয় , চাষে বিপুল পরিমাণে খনিজ পানির অপব্যবহার ,অনাবৃষ্টি ও জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে তীব্র পানি সংকটের মৌলিক কারণ হিসেবে চিন্হিত করা হয় ।
পঞ্চ নদীর দেশ পান্জাবের পানি সংকট নিয়ে এক বৃদ্ধের বক্তব্য এরকমঃ " আমরা সবুজ বিপ্লব ঘটাতে গিয়ে খনিজ পানির যথেষ্ট অপব্যবহার করেছি। বাঁচার জন্য পানি দরকার কিন্তু সে পানি এখন আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণে নেই। "
![]() |
ঢাকা শহরে তীব্র পানি সংকটের দৃশ্য |
আমি বাংলাদেশের খুলনার কিছু অঞ্চল জুড়ে ঘুরে বেরিয়েছিলাম । মিঠা পানির অভাব এখানে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে । নদীর জল নোনা হওয়ায় তা চাষের জন্যও ব্যবহার যোগ্য নয় । নলকূপ দিয়ে বালি সহ নোনা পানি উঠায় পুকুরের পানিই একমাত্র ভরসা ।
এটা এখন বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। পানির সমস্যা দিনদিন বাড়ছেই। পানির অভাব টেলিভিশ ন সেটের সামনে বসে বুঝা মুশকিল।
সামনে বৈশ্বিক উষ্ণতা আরো বাড়বে, বৃষ্টি কমবে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ার কারণে নদীর পানিতেও লবণাক্ততা ডুকে যাবে। ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ কমে যাবে।
যখন পান করার জন্য পানি থাকবে না তখন আমাদের উপর কী নেমে আসবে তা বর্তমান সময়ে বসে উপলব্ধি করা যাচ্ছে না।
৩য় বিশ্বযুদ্ধের মূল কারণ হবে এই পানি। কোন তেল বা স্বর্ণ নয়। তাই আমাদের পানির অপচয় রোধ করা ও পানির সঞ্চয় বাড়ানো উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন