প্রশ্নগুলো যেখানে পাবেনঃ বিবিসির পূর্ণাঙ্গ সংবাদ (এখানে ক্লিক করুন )
প্রশ্ন ১ঃ আহলে সুন্নত নামের একটি সংগঠন বলছে, দেশের সব মাদ্রাসায় একই ধরনের পাঠ্যক্রম অনুসরণ না হলে কোরআন ও হাদিসের ভিন্ন ব্যাখ্যার আশংকা থাকে।
উত্তরঃ এই জন্যই সকলের উচিত কওমি মাদ্রাসায় এক সিলেবাসে পড়া। আর কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা কি শুধু বাংলাদেশে হয় ? এক মুসলমান হওয়ার সত্তেও আরব,ভারত,পাকিস্থান,ইউরোপ কেন তবে আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা। এক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য দরকার ইসলামী শাসন। চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা থেকে বের হওয়া উচিত।
প্রশ্ন ২ঃ এসব মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম সরকার কর্তৃক স্বীকৃত এবং তাদের শিক্ষক নিয়োগে সরকারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। কিন্তু কওমী মাদ্রাসাগুলো তার বিপরীত।
উত্তরঃ কওমী মাদ্রাসা আপামর মানুষের অর্থায়নে চলে। নিজের ইচ্ছেই মানুষ মাদ্রাসায় টাকা দিয়ে শত শত বছর ধরে এই মাদ্রাসাকে বাচিয়ে রেখেছে । সরকার পরিবর্তনশীল । একেক সরকারের ইচ্ছে অনুযায়ী মাদ্রাসা চলতে পারে না।আর কওমী মাদ্রাসা মুমিনরায় একক, আরবী ও উর্দু কেন্দ্রিকভাবে চালিয়ে আসছেন। এখানে দুনিয়াবি পড়ালেখা করানো হয় না ।
আর আলেয়া মাদ্রাসার কোন শিক্ষক কওমী মাদ্রাসায় পড়ানোর যোগ্যতাও রাখেন না।কিভাবে পড়াবেন? কারণ পুরো বুখারি শরিফের হাদিস যেখানে কওমী মাদ্রাসায় তালিমের সাথে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও মুখস্থ করতে হয় সেখানে আলেয়া মাদ্রাসায় সার্টিফিকেটে A+ তুলতে ছেলে-মেয়েরা মরিয়া হয়ে পাশের জন্য কিছু হাদিস মুখস্থ করে চলে যায়। অনেকেই পরীক্ষায় নকল, প্রশ্ন ফাস , দেখে দেখে লেখা সহ নানা ভাবে আলেয়া থেকে পাশ করে যায়। কওমী মাদ্রাসায় যে ছেলেটা পড়ার যোগ্যতা রাখে না সেই ছেলেটি আলেয়াতে এসে দাখিল-আলিম পাশ করে জীবন নিয়ে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।
বাবা-মা'রা সন্তুষ্ট চিত্তে থাকেন এইজন্য যেঃ আমার ছেলেটা আলেম হয়েই গেল।বেহেস্থ আমার নিশ্চিত।
আফসোস সেই সব বাবা-মায়েদের জন্য।
প্রশ্ন ৩ঃ দেশের সব মাদ্রাসায় অভিন্ন পাঠ্যক্রম চালু না হলে কোরআন ও হাদিসের ভিন্ন-ভিন্ন ব্যাখ্যা তৈরি হতে পারে বলে আশংকা করেন আহলে সুন্নতের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন।
উত্তরঃ আলেয়া - মাদ্রাসা নাকি স্কুল সেটাই মূল প্রশ্ন। বাংলা,ইংরেজি,গণিত, পদার্থ, রসায়ন , পৌরণীতির সাথে কিছু আরবী-ফারসী বই দিয়ে ইসলামী ব্যাখ্যার জন্য যথেষ্ট? রসায়ন কিংবা পৌরণীতির থিউরি দিয়ে ইসলামিক ব্যাখ্যা !!!
ছেলেটা কী পিজিক্স দিয়ে আকাশ মাপবে নাকি কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা পড়বে ?
প্রশ্ন ৪ঃ তিনি বলেন, "তাদেরকে (কওমী মাদ্রাসা) প্রশ্ন করেন তো আলিয়া মাদ্রাসায় যে কোরআন ও হাদিস পড়ানো হচ্ছে, সেটা পড়তে আপনাদের ভয় কোথায়? ওরা কেন এটা পড়বে না?
উত্তরঃ "আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন কলকাতা মাদরাসা কলেজ বা মাদরাসা আলিয়া; ইংরেজি: Aliah University) পশ্চিমবঙ্গের একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭৮১ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির তদনীন্তন গভর্নর " ওয়ারেন হেস্টিংস " কলকাতা মোহামেডান কলেজ নামে এই প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা করেন। আরবি, ফারসি, ইসলামি ধর্মতত্ত্ব ও আইন পঠনপাঠনের উদ্দেশ্যে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালের পর এই কলেজে বাংলায় পঠনপাঠন শুরু হয়।" - উইকিপিডিয়া ।
আর এখন বাংলা,ইংরেজি,গণিত, পদার্থ, রসায়ন , পৌরণীতি সহ নানা বিষয় আছে। আলেয়া মাদ্রাসায় ছেলে-মেয়ে তো একসাথে মজা নিয়েই পড়ে। এখন নাকি নারী ও হিন্দু শিক্ষকও নেয়া হচ্ছে । সম্মিলিত এসব পরিবর্তন চাকরির জন্য যুতসই হলেও ধর্মের জন্য ঠিক নয়।
এসবে দিয়ে ধর্ম হয় ?
আলেম হওয়া যায় ?
ইচ্ছেমত কোরআন -হাদিস ব্যাখ্যা করা যায় ?
প্রশ্ন ১ঃ আহলে সুন্নত নামের একটি সংগঠন বলছে, দেশের সব মাদ্রাসায় একই ধরনের পাঠ্যক্রম অনুসরণ না হলে কোরআন ও হাদিসের ভিন্ন ব্যাখ্যার আশংকা থাকে।
উত্তরঃ এই জন্যই সকলের উচিত কওমি মাদ্রাসায় এক সিলেবাসে পড়া। আর কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা কি শুধু বাংলাদেশে হয় ? এক মুসলমান হওয়ার সত্তেও আরব,ভারত,পাকিস্থান,ইউরোপ কেন তবে আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা। এক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য দরকার ইসলামী শাসন। চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা থেকে বের হওয়া উচিত।
প্রশ্ন ২ঃ এসব মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম সরকার কর্তৃক স্বীকৃত এবং তাদের শিক্ষক নিয়োগে সরকারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। কিন্তু কওমী মাদ্রাসাগুলো তার বিপরীত।
![]() |
কওমী মাদ্রাসার শ্রেনী কক্ষের চিত্র |
উত্তরঃ কওমী মাদ্রাসা আপামর মানুষের অর্থায়নে চলে। নিজের ইচ্ছেই মানুষ মাদ্রাসায় টাকা দিয়ে শত শত বছর ধরে এই মাদ্রাসাকে বাচিয়ে রেখেছে । সরকার পরিবর্তনশীল । একেক সরকারের ইচ্ছে অনুযায়ী মাদ্রাসা চলতে পারে না।আর কওমী মাদ্রাসা মুমিনরায় একক, আরবী ও উর্দু কেন্দ্রিকভাবে চালিয়ে আসছেন। এখানে দুনিয়াবি পড়ালেখা করানো হয় না ।
আর আলেয়া মাদ্রাসার কোন শিক্ষক কওমী মাদ্রাসায় পড়ানোর যোগ্যতাও রাখেন না।কিভাবে পড়াবেন? কারণ পুরো বুখারি শরিফের হাদিস যেখানে কওমী মাদ্রাসায় তালিমের সাথে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও মুখস্থ করতে হয় সেখানে আলেয়া মাদ্রাসায় সার্টিফিকেটে A+ তুলতে ছেলে-মেয়েরা মরিয়া হয়ে পাশের জন্য কিছু হাদিস মুখস্থ করে চলে যায়। অনেকেই পরীক্ষায় নকল, প্রশ্ন ফাস , দেখে দেখে লেখা সহ নানা ভাবে আলেয়া থেকে পাশ করে যায়। কওমী মাদ্রাসায় যে ছেলেটা পড়ার যোগ্যতা রাখে না সেই ছেলেটি আলেয়াতে এসে দাখিল-আলিম পাশ করে জীবন নিয়ে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।
বাবা-মা'রা সন্তুষ্ট চিত্তে থাকেন এইজন্য যেঃ আমার ছেলেটা আলেম হয়েই গেল।বেহেস্থ আমার নিশ্চিত।
আফসোস সেই সব বাবা-মায়েদের জন্য।
প্রশ্ন ৩ঃ দেশের সব মাদ্রাসায় অভিন্ন পাঠ্যক্রম চালু না হলে কোরআন ও হাদিসের ভিন্ন-ভিন্ন ব্যাখ্যা তৈরি হতে পারে বলে আশংকা করেন আহলে সুন্নতের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন।
উত্তরঃ আলেয়া - মাদ্রাসা নাকি স্কুল সেটাই মূল প্রশ্ন। বাংলা,ইংরেজি,গণিত, পদার্থ, রসায়ন , পৌরণীতির সাথে কিছু আরবী-ফারসী বই দিয়ে ইসলামী ব্যাখ্যার জন্য যথেষ্ট? রসায়ন কিংবা পৌরণীতির থিউরি দিয়ে ইসলামিক ব্যাখ্যা !!!
ছেলেটা কী পিজিক্স দিয়ে আকাশ মাপবে নাকি কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা পড়বে ?
প্রশ্ন ৪ঃ তিনি বলেন, "তাদেরকে (কওমী মাদ্রাসা) প্রশ্ন করেন তো আলিয়া মাদ্রাসায় যে কোরআন ও হাদিস পড়ানো হচ্ছে, সেটা পড়তে আপনাদের ভয় কোথায়? ওরা কেন এটা পড়বে না?
উত্তরঃ "আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন কলকাতা মাদরাসা কলেজ বা মাদরাসা আলিয়া; ইংরেজি: Aliah University) পশ্চিমবঙ্গের একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭৮১ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির তদনীন্তন গভর্নর " ওয়ারেন হেস্টিংস " কলকাতা মোহামেডান কলেজ নামে এই প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা করেন। আরবি, ফারসি, ইসলামি ধর্মতত্ত্ব ও আইন পঠনপাঠনের উদ্দেশ্যে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালের পর এই কলেজে বাংলায় পঠনপাঠন শুরু হয়।" - উইকিপিডিয়া ।
আর এখন বাংলা,ইংরেজি,গণিত, পদার্থ, রসায়ন , পৌরণীতি সহ নানা বিষয় আছে। আলেয়া মাদ্রাসায় ছেলে-মেয়ে তো একসাথে মজা নিয়েই পড়ে। এখন নাকি নারী ও হিন্দু শিক্ষকও নেয়া হচ্ছে । সম্মিলিত এসব পরিবর্তন চাকরির জন্য যুতসই হলেও ধর্মের জন্য ঠিক নয়।
এইজন্যই কওমিরা আলেয়াতে পড়তে ভয় পায়। আর যারা কওমী মাদ্রাসা থেকে আলেয়া কিংবা সাধারণ শিক্ষায় পড়তে আসে তারা হয়ত তারেক মাসুদ এর মত হয়। আলেয়া মাদ্রাসার ৭০ ভাগের বেশিই ড্রপআউট। তারা হয়ত দাখিল দিয়ে কলেজে কিংবা আলিম দিয়ে ভার্সেটিতে পড়ছে।তাদের কিছু ঢাবি-সিইউ'র মত পাব্লিক ভার্সেটিতে চান্স পেয়ে ধন্য হয়ে আকাশ-বাতাস কাপিয়ে তুলেন। আর ভার্সেটিতে কারবালার বিষাদসিন্ধুর মত মহাকাব্য পড়িয়া ইতিহাসে পাণ্ডিত্য দেখাতে মরিয়া হয়ে যান ।
অনেকেই স্কুলে পাশ করতে না পেরে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে দাখিল-আলিম পাশ করছে।এসবে দিয়ে ধর্ম হয় ?
আলেম হওয়া যায় ?
ইচ্ছেমত কোরআন -হাদিস ব্যাখ্যা করা যায় ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন