মঙ্গলবার, ২ মে, ২০১৭

আমার বেদাতি থেকে ওহাবি হয়ে উঠা অতঃপর.........।।

আমি সুন্নী পরিবারের সন্তান । ধর্ম যেখানে ইসলাম সেখানে ব্রাকেটে সূন্নী লিখতাম । ছোটবেলায় এই সুন্নীর অর্থ খুজতে শ্রম দিই নাই । তবে নামায শেষে দরুদ -কিয়াম করা , ভাল রান্না খাওয়ার আগে ফাতেহা [এটা সূরা ফাতেহা নয় বরং সূরা ফাতিহা ও সাথে কিছু সূরা পড়ে মৃত ব্যক্তির নামে দোয়া করা ] দিয়ে খাওয়া , শবে বরাতে সম্মিলিত নফল নামায আদায় ও কবরে মোম জ্বালানো , মৃত্যুর পর মৃতব্যক্তির মাগফেরাত উদ্দেশ্যে ৪ র্থ দিন , ৪০ তম দিন , ৬ মাসে, ১ বছরে এবং প্রতিবছর  মেজবান খাওয়ানো ও 
৪০ দিন ব্যাপি টানা ফাতেহা চলা সহ নানা কর্মকান্ডকে আমরা সুন্নী বলতাম ।

এসবের সাথে আরো কিছু বিশ্বাস অন্তর্ভুক্ত ছিল। পীর মানা ও সিজদা করা, মাজারে মান্নত করা ও উনার কাছে ফরিয়াদ করে চাওয়া, নবী সাঃ কে হাজের-নাজের মানা, নবী সাঃ ইলমে গায়েব জানেন বিশ্বাস করা, নবী সাঃ নূরের তৈরী মেনে নেয়া আর কেউ মাটির তৈরী বললেই  তাকে ওহাবী বলা, মাজারে ওরশ করা, মিলাদ মাহফিল করা, বিয়ে ধুমধাম করে করা, কাবিন বেশি ধরা, মৃত ব্যক্তির চল্লিশতম দিন কিংবা চাল্লিশায় আস্ত মুরগীর রোস্ট( দুরুচ কুরা) নিয়ে মশাল জ্বালিয়ে কবরে যাওয়া সহ নানা কাজকে আমরা এখনো মেনে আসছি। আরেকটা মজার ব্যাপার আছে-   মৃত ব্যাক্তিকে যেখানে গোসল  করায় সেখানে ৪০ তম রাতের ১২টার দিকে নাকি ঘোড়া ,হাতি, ময়ূরের পায়ের ছাপ ভেসে উঠে । একেক পায়ের ছাপের একেক ব্যাখ্যা । ময়ূরে ছেপে আত্মা পরোলোকে গেলে তিনি নাকি বেহেস্থি সহ নানা থিউরি এখানে বিরাজমান।  
আমরা যুগযুগ ধরে এসব মেনে এসেছি। কোরআন হাদিসে কি আছে -নাই সেটার চেয়েও এসব আচার আমাদের কাছে ধর্মের আধার। 

 আর যারা এসব পালন করত না তাদেরকে আমরা  ওহাবি, জামাতি বলে গালি দিই। আমাদের আলেমগুলো ওয়াজে শুধু ওহাবি বিরুদ্ধ বয়ান করতেন । ওহাবীরা নাকি নবী মানে না। আমাদের চোঁখে মুখে সবসময় ওহাবির প্রতি ঘৃণা জন্মাত । কাছে পেলেই যেন মেরে ফেলি । কিন্তু কে সেই ওহাবি তখনো দেখার সুযোগ হয় নাই। পরে জানতে পারলাম- আমার নানার বাড়ির লোক নাকি ওহাবি। এটা আমার জন্য বিরাট কনফিউজিং ও যাচায়ের একটা ক্ষেত্র। তবে অবাক হলাম। এত কাছেই ওহাবিদের বাস !! 
 এখন আসি আমার নানা বাড়ি নিয়ে । তখন এসবের কিছুই জানতাম না। নানাকে জিজ্ঞাস করার সুযোগই পাই নাই। আমার শৈশবেই আমার নানা-নানী ইন্তেকাল করেন। প্রত্যকের কাছেই তাদের নানা-নানী ভাল। আমার কাছেও তেমন । তবে আমার নানার ধার্মিকতার কেসসা গুলো আমাকে অবাক করত। সেটা পরে বলা যাবে।
এবার আসি বড় মামার কথায়। তিনি খুব নামাযি ও আমল ধারী। মামা " লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ " পড়ে ঝিকির করতেন।
 আমি মামাকে বলতাম- মামা মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ কে পড়ব ?
মামা হাসতেন। কিছু বলতেন না। 
আমি পাড়ায় এসে আমার এলাকার সাথীদের বলতাম। ওহাবী মামার ভুল ধরতে পেরেছি। সব্বাই বাহবা দিয়ে কাহিনী শুনত। 
 " লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ " যে উত্তম জিকির তখন কে জানত ?
আমার দাদা-দাদী ভাল রকমের নামাযী ছিলেন । কোরআন তেলোয়াত ছিল নিত্যদিনের । অসুখ হলেও নামায কাযা করতেন না । অনেক আমলও করতেন । দাদা-দাদীর জোর জবরদস্তিতে রোজ সকালে মক্তবে যাওয়া , আযানের দোয়া পাঠ করা , ইসলামী রেঁনেসার ইতিহাস সহ নানা ধর্মীয় আচার শেখাটা পর্যন্তই আমাদের ধর্মীয় ঞ্জানের সীমা ছিল  ।

আমার বড় দাদা একজন বুজর্গ ছিলেন সেটা জানা ছিল। তার আমলের পরিমাণ এত ছিল যে বর্তমানে আমাদের গ্রামের সকল মুরব্বীদের ঈমান তার সমতূল্য হবে কিনা সন্দেহ। সেটা প্রমাণ পেয়েছিলাম একদিন। মসজিদের হুজুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঈমামতি কে করবেন এই নিয়ে কনফিউজিং। কেউ সাহস করে ঈমামতি করছেন না। যেই না একজনকে সবাই জোর করে পাঠালেন আর  তিনি স্পষ্টই ভুল করলেন। 

আমার কলেজে উঠার পর একদিন সদর রাস্থার মোড়ে ইসলামী ফ্রন্ট নামের একটি দলের নেতা দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেলেন। আমি ধর্মীয় কথা মনে করে শুনতে গেলাম।
 তিনি বলছেন- আমরা আজানের আগে সালাতুস সালাম এই জন্যে দিই যে কারবালা প্রান্তরে হোসেন রাঃ ও ইয়াজিদের সৈন্যদের দুই শিবিরে নামায হয়েছিল কিন্তু কোনটি হক আর কোনটি বাতিল সেটা সাধারণ মানুষের পক্ষে ফারাক করার উপায়  ছিল না। আমরা সালাতুস সালাম দিয়ে আজানের আগেই জানিয়ে দিই এটা হাসান রাঃ এর জামাত !!! 

আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল এটা তো ইসলামের বিবাধ সৃষ্টির একটা ধরণ। ্তখনো আমি হানাফি যে একটা মাযহাব সেটার নামই শুনি নাই। তবে এলাকার কিছু ছেলে আহমদ রেযা রাঃ কে আধাত্মিক নেতা মানতেন। মানে তিনি আমাদেরও নেতা। কিন্তু তাকে চিনতাম না। 
সেবার শুনেছিলাম আহমদ রেযা  নাকি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন !! ব্রিটিশদের পক্ষেই নাকি দারুল ইসলাম ফতুয়া দেয়ার অগ্রনায়ক ছিলেন। এই নিয়ে আমি আমার আলেয়া মাদ্রাসার এক বন্ধুর নিকট জিজ্ঞাসা করি। সে শুধু সম্মতি জানিয়ে এই নিয়ে আর কথা বলতে চায় নি। 
কিন্তু আমি দমে যাবার পাত্র ছিলাম না। তখনো ধর্ম আমাকে ছুয়ে যায় নি শুধু জানার ইচ্ছেটা ছিল। 


ভার্সেটি লাইফে পদার্পন ছিল জামায়াতী ইসলামীকে ঘৃণা নিয়ে। এরাও নাকি ওহাবিদের দোষর। তখনো সত্যের 'স' ও জানা ছিল না। রাজনীতিতে আমার আগ্রহ ছিল বেশি। লেখালেখি ও ব্লগিং এ নেশা হয়ে উঠে।  রাজনৈতিক কোন বিষয় নিয়ে লিখতে জ্ঞান লাগে। সেজন্য বিভিন্ন টক শো দেখতাম, বই পড়তাম, নিউজ পড়তাম, কে কী বলে কিংবা তার প্রতি উত্তর কী হবে তা মাথায় খেলাতাম আর লিখতাম। তবে সেখানে ধর্ম ছিল না।  হুমায়ুনের হিমু-মিসির আলী কিংবা জাফর ইকবাল স্যারের সায়েন্স ফিকশান ,জুলস ভার্ণের সায়েন্স ফিকশান পড়া যেখানে আমার নেশা ছিল সেখানে কখন রাজনৈতিক পড়াশুনা আর লেখালেখি আমাকে অন্যদিকে নিয়ে গিয়েছিল তা জানতামই না। হুমায়ুনের স্থলে জায়গা করে নেয় সমরেশ মজুমদার। 

তখন হঠাত কালবেলা,কালপুরুষ পড়া শুরু করেছিলাম। একটি আবৃতি সংঘটনের সাথেও জড়িত ছিলাম। নামায জিনিসটাই ভুলে যায় । তখন মাথায় ঘুরত কিভাবে নকশাল বাড়ির আন্দোলনের মত আরেকটি আন্দোলনের জন্ম দেয়া যায়। ডিসি হিলের আবৃত্তি  সন্ধ্যা ও শিল্পকলার আড্ডায় ছিল জীবন।  এভাবে প্রায় উদ্ভাস্তুর মত বছর খানিক ছিলাম। এরপর এক জুমা লগ্নে আমি সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। আর আবৃত্তিতে জড়ানো হয় নি।  

চট্টগ্রামের কৃষ্টি-কালচার, ধর্ম ও রাজনীতি দেখে বড় হওয়া আমি হঠাত ব্যস্থ শহর ঢাকাতে আসন বসাই।  এখানে এসে আমি হঠাত হোচট খায়। যে মসজিদেই যায় নামাযের পরে দরুদ কিয়ামের আওয়াজ আর কানে আসে না। এভাবে নানা দিকের মসজিদ চসে বেড়ায় শুধু গুলসানের কয়েকটা মসজিদে এসব আচার চোখে পড়ে । হয়তো এমন আরো শ খানেক থাকতে পারে যেটা শতকরায় ৫% । আমি হঠাতই ঢাকায় সংখ্যা লঘু হয়ে গেলাম। চট্টগ্রামের সিন্নি,মেজবান, জিলাফির আর কোন দেখা নাই। ওখানকার ধর্মীয় রীতি এখানে বেকাপ্পা। এভাবে সিলেট, খুলনা,রংপুর ,ময়মনসিংহ, জামালপুর ,টাঙ্গাইল ঘুরতে থাকি। কিছু জায়গা ছাড়া প্রায় মসজিদে দেখি এই দরুদ কিয়াম হয় না।বুঝলাম -ইসলাম কোন সমাজ নয়,রাষ্ট্র নয়। ইসলামের দেশ গন্ডিতে বেঁধে রাখা যায় না। ইসলাম স্থির, এক নীতি, এক কথা।  
সেবার এক ফার্মে আমি চাকরির সুবাদে জয়েন করি। আমার কলিগের ৩ জন ছিল তাবলীগের আর ৪ জন ছিল জামায়াত পন্থি আর বাকি আমাদের কোন পন্থা প্রকাশের উপায় ছিল না। দেখতাম তাবলীগের ভাইরা নামাযের টাইম হইলেই নামাযের জন্য দাঁড়ায় যাইতেন আর জামায়াত যারা করত তারা ২ রাকাত শেষের দিকে জামাতে শরীক হতেন। এতদিন ভাবতাম ,জামায়াত যারা করে তারা ভাল ধার্মিক। আমার কিছু ছাত্র শিবিরের বন্ধুর চরিত্রগুণ চমতকার দেখেছি  কিন্তু তাবলীগ ওয়ালাদের কাছে এরা তো এক্কেবারেই নস্যি। খেলা তো  সবে শুরু। তখনও দেওবন্ধ ও তাবলীগের মৌলিকত্য আমার কাছে ক্লিয়ার না। তাবলীগরা তো জিহাদকে মানতে চায় না। তবে সত্য কে ?

ভার্সেটিতে সহচর্য পেতাম আহলে হাদিসের, অফিসে তাবলীগের , বাড়িতে বেদাতিদের, কিছু বন্ধু শিবির, কয়েক বন্ধু সালাফি এবং কয়েক ভাই ও বন্ধু নাস্তিক এই যখন অবস্থা তখন আমি পুরাই দোটনায়। 
আমাদের ওয়াজে বলা হত - " রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছিলেন- নজত বা রিয়াদ থেকে শয়তানের শিং বেরুবে যা ফিতনা  " সেখানে এত কিছুর সংস্পর্শ আমাকে টলাতে পারে নাই। এখন একটাই পথ। যেটাই হোক শয়তানের শিং ওহাবির কাছে আমি যেতে পারি না। তবে আমাদের বেদাতির কাজকারবার আমাকে পীড়া দেয়। এখানে যে স্পষ্ট ঝামেলা আছে সেটা নূন্যতম ধর্মীয় জ্ঞান রাখনে ওয়ালারাও ধরতে পারেন।  কোরআন -হাদিস নিজে বুঝে পড়ে তার সাথে যে দলের কথা ও কাজে মিল থাকবে তাকে হক হিসেবে চিন্থিত করাই এখানে মূল অস্ত্র।

আমার আবার পড়াশুনার জীবন শুরু। এবার ইসলাম নিয়ে।  প্রায় ৪০০ এর মত বই-ভিডিও পড়েছি ও দেখেছি, বিভিন্ন ফেরকার সাথে মিশে তাদের মৌলিকত্য ধরার চেষ্টা করেছি। সিরাহ মোহাম্মদ সাঃ , তাফসির, বুখারি,মুসলিম, তিরমিযি,আবি দাউদ, তাওহীদ , রিয়া, শির্ক, জাল হাদিস, দূর্বল হাদিস সহ নানা অথেন্টিক বিষয় নিয়ে প্রতে লাগলাম।   খোলাফায়ে রাশেদিন থেকে উমাইয়া, আব্বাস্যীয়, ফাতেমীয় খিলাফাহ, সালাহ উদ্দীন আইয়ুবী ,নুরুদ্দীন জঙ্গী, উসমানীয় খিলাফত পর্যন্ত ইতিহাসের মৌলিক একটা ধারণা নিলাম। পড়লাম - ভারতের ১৭০০ সাল থেকে দেশ বিভাগের ইতিহাস, ওহাবি বা আযাদি আন্দোলন, দেওবন্দ স্কুলিং, আলেয়া স্কুলিং, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলিং সহ নানা বিষয়।  আযাদী আন্দোলনের পরের ধর্মীয় ধারাটা উপমহাদেশে ৩টা উপধারার জন্ম দেয়। 
১। আলেয়া মাদ্রাসাঃ  উইকিপিডিয়ার কিছু লাইন দিয়েই মাদ্রাসায় মূল তথ্য তুলে ধরছি- "কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ারেন হেস্টিংস (ব্রিটিশ গভর্নর ১৭৭২-৮৫)। প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৮১;[৩] মতান্তরে, ১৭৮০[৪]। প্রথম দেড় বছর প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব খরচে চালান হেস্টিংস। তারপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পরিচালিত বাংলা সরকার এটি পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করে। কলকাতার বউবাজার অঞ্চলের বৈঠকখানায় এই কলেজের সূত্রপাত। পরে তালতলায় এর বর্তমান ঠিকানায় প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তরিত হয়।
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে মাদ্রাসায় আর্থিক সংকট দেখা দিলে ১৮১৯ সালে কোম্পানি ক্যাপ্টেন এরোন নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সেনা আধিকারিককে নিয়োগ করেন মাদ্রাসা ম্যানেজমেন্ট কমিটির রাজস্ব বোর্ডকে সহায়তা করার জন্য। ১৮৫০ সালে আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় গুরুতর সংকট দেখা দিলে অ্যালোয়েস স্প্রাঞ্জার নামে অপর এক ইউরোপীয়কে মাদ্রাসার শীর্ষে স্থাপন করা হয়।
প্রথম দিকে এই কলেজে আইন, জ্যোতির্বিদ্যা, যুক্তিবিজ্ঞান, দর্শন, পাটিগণিত, জ্যামিতি, ছন্দবিজ্ঞান, ব্যাকরণ, ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি পড়ানো হত। ১৮২৭ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অধ্যাপক পি ব্রেটন এই কলেজে একটি মেডিক্যাল ক্লাস শুরু করেন। ১৮৩৬ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত এই ক্লাস এই কলেজেই নেওয়া হত।
১৯২৭ সালটি বাংলার মুসলমান সমাজের শিক্ষার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরই অন্যান্য মাদ্রাসার সঙ্গে কলকাতা মাদ্রাসাতেও আলিম, ফাজিল, কালিম, মুমতাজুল মুহাদ্দেসিন প্রভৃতি শিক্ষাক্রমের সূচনা ঘটে।"
লিংকঃ  https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC#.E0.A6.87.E0.A6.A4.E0.A6.BF.E0.A6.B9.E0.A6.BE.E0.A6.B8

২। মাদ্রাসা ই দেওবন্দঃ  আযাদী আন্দোলনে বালাকোটে হেরে যাওয়ার পর চারদিকে আলেমদের প্রতি অত্যাচার নেমে আসে।  হাজার হাজার আলেমকে গাছে ঝুলানো হয়। চারদিকে যখন ঘোর অন্ধকার তখনইঃ 
"দারুল উলুম দেওবন্দ (হিন্দি ভাষায়दारुल उलूम देवबन्दউর্দুدارالعلوم دیوبند) হল ভারতের একটি মাদরাসা। এখান থেকে দেওবন্দি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। উত্তর প্রদেশের শাহারানপুর জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে এই মাদ্রাসার অবস্থান। ১৮৬৬ সালে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ইসলামি পণ্ডিত এটির প্রতিষ্ঠা করেন। মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি তাদের প্রধান ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মাওলানা রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি ও হাজি সাইদ আবিদ হুসাইন।"- উইকিপিডিয়া। 

৩। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ব্রিটিশদের সাথে সম্পর্ক্য বজায় রেখে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয়। 
আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের উত্তর প্রদেশ অঙ্গরাজ্যের আলীগড় শহরে অবস্থিত। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বৃটিশ রাজত্বের সময় ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটিতে পরিগণিত হয়। তৎকালীন অনেক সনামধন্য মুসলিম চিন্তাবিত ও উর্দূ ভাষার বিখ্যাত কবি ও লেখক এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।"  -উইকিপিডিয়া। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন